কিডনি ভাল রাখার উপায়
কিডনি ভাল রাখার উপায়
কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক।কিডনির সমস্যা প্রাথমিক অবস্থায় বুঝা যায়না যতক্ষন না জটিল অবস্থা ধারন করে।তাই সুস্থ মানুষকে ও সচেতন থাকতে হবে,প্রতিরোধ করতে হবে কিডনি রোগকে।নাহলে অকালে চলে যেতে পারে জীবন।
পোস্ট সূচীপত্র
কিডনি ভাল রাখতে যা যা করনীয়
১।পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
২।পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
৩।মানসিক চাপ পরিহার করতে হবে।
৪।ধুমপান করা বাদ দিতে হবে।
৫।ওজন নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
৬।ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
৭।সুষম খাবার খেতে হবে।
৮।উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
৯।৩০ মিনিট করে হাটাহাটি বা ব্যায়াম করতে হবে।
খাদ্যাভাস
১। কম চিনি জাতীয় খাবার খেতে হবে।চিনি একেবারে বাদ দিলে ভাল
২।তেল চর্বি পরিহার করতে হবে।বেকড খাবার খেতে হবে
৩।মাংস কম খেতে হবে।
৪।ফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।বেশি করে খেতে হবে সবজি।
৫।গোটা শস্যর খাদ্য খেতে হবে।রিফাইন্ড খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে।
৬।লবন কম খেতে হবে।বিশেষ করে সালাত খাবার সময় কম লবন দিয়ে খেতে হবে।লবনের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭।আস্তে আস্তে খাবার গ্রহন করতে হবে।
কিডনির রোগ যাদের বেশি হয়
সাধারনত কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।মাঝে মধ্যে পরীক্ষা করা উচিত।কিডনি ভাল রাখতে সুস্থ জীবনধারা চাই।ছোটবেলা থেকেই সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে।শরীরকে সচল রাখতে হবে।গবেষণায় দেখা গেছে,যারা কায়িক পরিশ্রম করেছেন,হাটাহাটি করেছেন তারা বেশি দিন বেচেছেন।যারা হাটাহাটি কম করেন তাদের কিডনি রোগ বেশি হয়।
ঝুকিতে যারা
১।বয়স ৫০ হলে।
২।উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।
৩।ডায়বেটিক থাকলে।
৪।ওজন বেশি থাকলে।
৫।ধুমপান করলে।
৬।বেশি ব্যথার ওসুধ সেবন করলে।
কিডনি রোগের কারন
কিডনি রোগের প্রধান কারন হল অতিরিক্ত ডায়বেটিস।অতিরিক্ত ডায়বেটিস থাকলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।আবার অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ কিডনির রক্তনালীগুলাকে নষ্ট করে দেয় যার ফলে কিডনি তার স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।কিডনিতে পাথর প্রসাবের পথকে বাধা দেয়।যার ফলে প্রসাব করতে সমস্যা হয়।ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে।
অতিরিক্ত ওজন হলে কিডনির স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।তাই অতিরিক্ত ওজন হতে পারে কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
একটু ব্যথাতেই ব্যথার ওষুধ প্রান কেড়ে নিতে পারে।যা কিডনির রক্তপ্রবাহকে বাধা দেয়।ফলে কিডনি হয়ে যেতে পারে অচল।
যাদের জন্মগত অতিরিক্ত ওজন কম তাদের কিডনি কাজ করার ক্ষমতা খুব কম থাকে ফলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় লক্ষ করা যায় বংশগত কারন থেকেও কিডনির জটিলতা আসে।পারিবারিক ভাবে কারও কিডনির জটিলতা থাকলে অন্যদের অ হবার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিরোধ
রোগ যেহেতু আছে প্রতিকার ও প্রতিরোধ আছে।তাই সবার উচিত কিডনির প্রতি নজর দেয়া।এর জন্য বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে আমাদের সবাইকে।
প্রথমেই ধূমপান বাদ দিতে হবে।কেননা ধুমপান কিডনির ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে বিকল করে দিতে পারে।
যারা অ্যালকোহল সেবন করে তাদেরকে এর মাত্রা কমিয়ে দিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রন করতে হবে।দরকার হলে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে এবং ওষুধ খেতে হবে।
অতিরিক্ত ওজন কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই ওজন নিয়ন্ত্রন করা খুবই জরুরী।
নিয়মিত হাটাহাটি করতে হবে অন্তত ৩০ মিনিট করে।প্রতিদিন না পারলে সপ্তাহে ৪ দিন হাটার অভ্যাস করতে হবে।
অকারনে ব্যাথার ওষুধ বাদ দিতে হবে।এটি কিডনি নষ্টের অন্যতম কারন।ব্যথার ওষুধ যদি খেতেই হয় তাহলে ডাক্তার এর কাছে যাওয়া উত্তম।
অতিরিক্ত লবন বাদ দিতে হবে।সালাদ খাবার সময় বেশি লবন দিয়ে খাওয়া যাবেনা।দরকার হলে বিভিন্ন মশলা ব্যবহার করা যেতে পারে।
তাই বলা যায় কিডনি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।অধিকাংশ মানুষ এই বিষয় টাতে সচেতন নয়।তাই অনেক মানুষ অকালে মারা যায়।সময় থাকতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।কথায় আছে,সুস্থ কিডনি সুস্থ জীবন।নিয়মিত কিডনি চেক করাতে হবে।বছরে একবার হলেও ডাক্তারের কাছে যাতে হবে।কারন কিডনির সমস্যা শুরুতে বুঝা না গেলেও পরে জটিল আকার ধারন করলে বুঝা যায়।সব পেশার মানুষকে সচেতন হতে হবে আর যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে।
স্কয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url