নিয়মিত হাটার উপকারিতা -হাটার ১০ টি উপকারিতা

 সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হল হাটা। যে কেউ নিয়মিত হাটতে পারেন। তবে হাটা কি খুবই জরুরী। হাটলে শরীর থাকে সুস্থ।হাটার আরও রয়েছে অনেক উপকার। ডাক্তার রাও নিয়মিত বলে থাকেন হাটার জন্য।

হাটলে শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা ভাল থাকে। বয়সটা ভুলে যান আপনি যদি চান যে সুস্থ থাকবেন তাহলে আজ থেকেই হাটা শুরু করুন। দেখবেন অল্প কিছু দিন পর নিজেকে মনে হবে ফিট।আসুন এবার আমরা হাটার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।

পোস্ট সূচিপত্র :নিয়মিত হাটার উপকারিতা -হাটার  ১০ টি উপকারিতা

হৃদপিণ্ড ভাল থাকে

যারা নিয়মিত হাটেন তাদের হৃদপিণ্ড ভাল থাকে।হাটলে খারাপ কোলেস্টরল কমে যায় আর ভাল কোলেস্টরল বাড়ে।যারা ৩০ মিনিট করে হাটে তাদের উচ্চ রক্তচাপ ভাল হয়।এছাড়া স্ট্রোকের ঝুকিও কমে যায়।নিয়মিত হাটলে শরীর সতেজ থাকে।
আবার নিয়মিয় হাটার ফলে শরীরের সুগার কমে যায় ফলে ডায়বেটিস এ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কমে যায়।ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হলে আপনাকে নিয়মিত হাটতে হবে।তাই নিয়মিত হাটার উপকারিতা অনেক।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে

ওজন নিয়ন্ত্রন করতে অনেকে অনেক ব্যায়াম করে থাকেন।কিন্তু আপনি কি জানেন নিয়মিত হাটার উপকারিতা অনেক।যদি ওজন কমাতে চান তাহলে৫০০-৬০০ ক্যালোরি পুড়াতে হবে।আপনার ওজন যদি ৬০ কেজির বেশি হয় তাহলে ৩ কিলোমিটার এর মতন হাটতে হবে।
আর যাদের ওজন ৬০ কেজির কম তারা ১৫ মিনিট করে হাটতে পারেন।তাছারা সুস্থ মানুষ যদি ১৫-২০ মিনিট করে হাটে তাহলে তার কোন অসুখ হবেনা এটা পরীক্ষিত।

শরীর সুস্থ থাকবে

নিয়মিত হাটার উপকারিতা বলতে গেলে শরীর সুস্থ থাকবে সবসময় যদি আপনি১৫-২০ মিনিট করে হাটেন সুস্থ হয়েও।এতে টাইপ ২ ডাইবেটিসের ঝুকিও কমে যায়।হাটলে কোলন ক্যান্সারের ঝুকি অনেক কমে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে ৫০-৬০ ভাগ কোলন ক্যান্সার হাটার মাধ্যমে সেরে গিয়েছে।তাই ডাক্তার কোলনের সমস্যার রুগীকে হাটতে বলেন নিয়মিত।এটা শরীরের জন্য খুবই ভাল।

মানসিকভাবে ভাল থাকা যায়

একঘেয়েমি দূর করতে হাটা খুব জরুরী।বাহিরে থেকে একটু হেটে আসুন দেখবেন মন ভাল লাগছে।এটাই হাটার উপকারিতা।হাটলে কাজে মন বসানো যায়।চাপমুক্ত মনে হয় নিজেকে।আপনার মানসিক অবস্থা খারাপ থাকলে সেইখান থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করবে হাটার অভ্যাস।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন থাকবে

নিয়মিত হাটার অভ্যাস আপনাকে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দিবে।হাটার ফলে রক্তে সুগার কমতে থাকে।ফলে নিয়ন্ত্রনে থাকে ডায়বেটিস।তাই দিনে ৩০ মিনিট করে হাটুন।আপনার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য প্রতিদিন হাটা খুবই জরুরী।ডাক্তারের কাছে গেলেও ওষুধ এর পাশাপাশি রুগীকে হাটতে বলে থাকেন।তাই বলা যায় ডায়বেটিস এর ক্ষেত্রে নিয়মিত হাটার উপকারিতা অনেক।

যেকোন ব্যথা কমায়

আজকাল সব বয়সের মানুষের জয়েন্ট পেইন,মাসল পেইন হয়।বেশি হচ্ছে তরুণদের। তাই তরুন্দের উচিত শুয়ে বসে না থেকে বাইরে থেকে হেটে আসা।এতে করে ব্যথা অনেকাংশে কমে যায়।
যদি নিয়মিত হাটার অভ্যাস করা হয় তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে এই ব্যথা কমে যাবে।

ঘুমের সমস্যা দূর করে

অনেকের রাতে ঘুম আসেনা।এই সমস্যার মুল কারন হল বেশি রাত জেগে ফোন দেখা।যার কারনে অনিদ্রা জেঁকে ধরেছে।আপনি যদি নিয়মিত হাটার অভ্যাস করে থাকেন।তাহলে দেখবেন রাতে বিছানায় পড়তেই আপনার ঘুম চলে আসবে।
আপনাকে অনিদ্রায় ভুগতে হবেনা।ঘুম না হলে সারাদিন ঝিম ঝিম করে।মন মেজাজ ভাল লাগেনা।কাজে মন বসেনা।তাই ঘুমের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত হাটুন।

পায়ের শক্তি বাড়ে

নিয়মিত হাটার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা তার মধ্যে এটি একটি।হাটলে আঙ্গুলের শক্তি বাড়ে।পাশাপাশি পায়েরও শক্তি বাড়ে।হাটলে ব্যাকপেইনের সমস্যা কমে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি পাওয়া যায়

দিনের আলোতে হাটলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী।প্রতিদিনের খাবার থেকে অল্প ভিটামিন পাওয়া যায়।কিন্তু রোদ থেকে ভিটামিন পাওয়া যায় বেশি।সকাল বেলার রোদ বেশি উপকারি ।তাই সকাল করে হাটার অভ্যাস করুন।
যাদের শরীরের ভিতামিন ডি বেশি অন্যদের তুলনায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি।তাই হাটা হল উত্তম ব্যায়াম।

উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করে

যাদের উচ্চরক্ত চাপ রয়েছে তাদের জন্য হাটা অতি জরুরী।কেননা হাটলে শরীরের বাড়তি রক্তচাপ কমতে শুরু করে।যার ফলে ব্লাড প্রেসার নরমাল থাকে।তাই উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করতে হাটার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনঃডেঙ্গুর লক্ষন

প্রতিদিন হাটার উপকারিতা

রোজ খানিকটা হাটা বেশ উপকারী।নিয়মিত হাটা শরীরের জন্য অনেক ভাল।না হাটলে শরীরে বাসা বাধতে পারে অনেক রোগ।নিয়মিত না হাটলে মাংসপেশির শক্তি কমে যায়,পায়ের শক্তি কমে যায়।
তাই প্রতিদিন না হলে ৫ দিন হাটতেই হবে।

যখন হাটতে হবে

সবথেকে ভাল ভোরে হাটা।ভোরের বিশুদ্ধ বাতাসে হাটতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।তবে এইক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।তবে বিকেল বেলায় ও আপনি হাটতে পারেন।

হাটার ফলে যেসব রোগ কমে-

  • অতিরিক্ত চর্বি কমে।
  • ওজন কমায়।
  • হাটু ব্যথা কমায়।
  • ব্যাকপেইন কমায়।
  • উচ্চরক্ত চাপ কমায়।
  • শরীরে ইনসুলিন বাড়ে।
  • খারাপ কোলেস্টোরল কমায়।
  • ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে।

আরও উপকার পেতে

  • হাটার উপকার পেতে অন্তত সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাটতে হবে ।
  • প্রথমে আসতে আসতে হাটতে হবে ৫ মিনিট ।তারপর জোরে জোরে হাটতে হবে ১০ মিনিট এইভাবে ৩০ মিনিট হাটতে হবে।
  • হাটার আগে হাত পা নাড়িয়ে শরীর ওয়ার্ম আপ করে নিতে হবে।
  • কোথাও লিফট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করুন। 

খালি পেটে নাকি ভরা পেটে হাটা উচিত

ডাক্তার রা বলেন একদম ভরা পেটে না হাটাই ভাল।খাবার খাওয়ার ১-২ ঘন্টা পর হাটা উচিত।ওজন কমাতে চাইলে একদম খালি পেটে হাটুন।যারা ইনসুলিন নেন তারা খালি পেটে হাটবেন না ।কিছু খেয়ে তারপর হাটতে বের হবেন।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা আগে ডায়াবেটিস মাপবেন তারপর হাটবেন।নয়তো হাইপো হয়ে যেতে পারে।এই দিকটা খেয়ার রাখবেন যেন হাইপো না হয়।ডায়াবেটিস নীল হয়ে গেলে মানুষ মারাও যেতে পারে।

যেভাবে হাটা উচিত

ঝুকে হাটা যাবেনা।এটা খেয়াল রাখতে হবে যে সামনে ঝুকে হাটা না হয়।ঘাড়,বুক টান করে সোজা হয়ে হাটতে হবে।যদি কারও বুক ধড়ফড়ের সমস্যা থাকে তাহলে আস্তে আস্তে হাটতে হবে।আর যারা সুস্থ আছেন তারা জোড়ে হাটবেন।

হাটার সময় যেই সব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

আরামদায়ক পোশাক পড়তে হবে।বাইরে যেতে না পারলে বাসায় ট্রেড মিল ব্যবহার করা যেতে পারে ।হাটার জন্য সু ব্যবহার করতে হবে।

বেশি হাটার উপকারিতা

নিয়মিত হাটার উপকারিতা হনেক।বেশি বেশি হাটলে মুড ভাল থাকে।মন ফ্রেস থাকে।যাদের হজমের সমস্যা তারা নিয়মিত হাটবেন আর বেশি বেশি হাটবেন।আবার যাদের পেটে গ্যাস আছে তারা ৪০ মিনিট করে জোরে জোরে হাটবেন।
যাদের হজমের সমস্যা আছে তারা বেশি করে হাটবেন।এতে করে আপনার হজম শক্তি বাড়বে।এছাড়া হাটলে শরীর অক্সিজেন পায়।যার ফলে কমে যায় টেনশন আর বহু রোগ।যারা বিষণ্ণতায় ভূগছেন তাদের জন্য হাটা অনেক উপকারী।

 ১ কিলোমিটার হাটতে কত সময় লাগে

ধীর গতিতে হাটলে ১৫ মিনিট সময় লাগবে।মাঝারি গতিতে হাটলে সময় লাগবে ১০ মিনিট আর দ্রুত হাটলে লাগবে ৫-৬ মিনিট এর মতন।

যাদের জন্য হাটা ঝুকিপূর্ণ

যাদের বয়স অনেক বেশি তারা একা একা বাহিরে বের হবেন না।সাথে কাওকে নিয়ে বাহিরে যাবেন।আবার যাদের একটু তে হাইপো হয়ে যায় তারা কম হাটবেন ১০-১৫ মিনিট হাটবেন

গবেষণায় যা বলছে

গবেষণা করে দেখা গেছে কমপক্ষে ৮ কিলোমিটার হাটলে শরীর সুস্থ থাকে।সপ্তাহে অন্তত একদিন জোরে হাটতে হবে।যেন শরীর ঘামে।একে অ্যারোবিক ব্যায়াম বলা হচ্ছে। অ্যাারোবিক ব্যায়ামে আরও পড়ছে সাইকেল চালানো,দৌড়ানো,সাতার ইত্যাদি।
সপ্তাহে ৫ দিন হাটলেই শরীর থাকবে ফিট যা গবেষণা করে পাওয়া গেছে।যারা ওজন কমাতে চান তারা ৬-৭ কিলোমিটার প্রতিদিন হাটবেন।

প্রবীনরা যেভাবে হাটবে

 প্রবীনরা ধীরে ধীরে হাটবে।প্রতিদিন ৩-৪ কিলোমিটার হাটলেই অনেক।এতে অনেক শারীরিক জটিলতা দূর হয়।প্রবীনদের জন্য ২০-৩০ হাটা উচিত।এতে করে প্রবীনদের মানসিক অবস্থা ভাল থাকে।যাদের বয়স ৫০ এর বেশি তারা খুব বেশি জোরে জোরে হাটবেন না এতে করে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে।

প্রতিদিন সকালে হাঁটলে কি উপকার হয়

সকালের হাঁটা মানুষের অনেক উপকার করতে পারে। বিশেষ করে মানুষের মস্তিষ্ক সচল রাখে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে হাটার কোন বিকল্প নেই। হাঁটলে টেনশন ও দুশ্চিন্তা কমে যাবে। সকালে হাঁটলে মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায় এবং কাজে মনোযোগ দেওয়া যায়। এছাড়া সকালে হাঁটলে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে। আপনি যদি সকালে হাঁটেন তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে।
সকালবেলা করে হাঁটার অভ্যাস আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগ দূর করবে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে এবং আপনি যদি প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন তাহলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকবে। এছাড়া যারা দীর্ঘদিন যাবত বাতের সমস্যায় রয়েছেন তারা যদি নিয়মিত হাটেন তাহলে ভাতের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। যাদের স্নায়বিক সমস্যা আছে তাদের জন্য হাটা অতি জরুরী। হাঁটার আরও একটি উপকার আছে সেটা হল মেরুদন্ড শক্ত রাখে।

হাটার মাধ্যমে যেভাবে লাভবান হবে

আগেই বলেছি ৩০ মিনিট করে হাটা শরীরের জন্য অনেক ভাল।নিজের সুবিধামত হাটার রুটিন করে নিতে হবে।হাটার পথ ঠিক করে নিতে হবে।আপনি যেইখানে হাটছেন আশপাশের পরিবেশ তা সুন্দর হলে হাটতে বেশ ভালই লাগে।
হাটার ক্ষেত্রে পারক,ফাকা রাস্তা বেছে নিতে পারেন।চাইলে স্থান পালতাতেও পারেন।পায়ে জুতা পরে বের হবেন।এতে পায়ে আঘাত লাগবেনা।সঠিক ভাবে হাটলে পেশিতে টান লাগবেনা।

হাটার নিয়ম 

হাটারও বেশ কিছু নিয়ম আছে সেগুলো না মানলে সব পরিশ্রম পানিতে যাবে।তাই নিয়ম মেনে হাটতে হবে।নিয়মিত হাটার উপকারিতা পেতে গেলে আগে হাটার নিয়ম জানতে হবে।আসুন হাটার নিয়ম গুলো জেনে নিই-
  • হাটার সময় হাত মুক্ত ভাবে নাড়াতে হবে।এতে হাটার তাল ঠিক থাকবে।
  • পেটের পেশিকে কাজে লাগাতে হবে।
  • মাথা ও পিঠ সোজা রাখতে হবে।মাথা নিচু করে হাটবেন না।এভাবে হাটলে হাস ফাস ও লাগেনা।
  • বড় বড় ধাপ ফেলা যাবেনা।ছোট ধাপ ফেলুন।
  • নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন মুখ দিয়ে ছাড়ুন।এতে করে আপনি ক্লান্ত হবেন না।
  • আপনি যাতে কথা বলতে পারেন এমন গতিতে হাটুন।
  • হাটার সময় পায়ের গোড়ালি মাটিতে স্পর্শ করাতে হবে।এতে সন্ধির ক্ষমতা বাড়ে,চাপ কমে।
  • গরমের দিনে হাটার আগে,হাটার সময় আর হাতার শেষে পানি খান।পানির বোতল সাথে রাখুন।
  • টাইট জুতা পড়বেন না।
  • ঢিলা জুতা ব্যবহার করুন। 

লেখকের মন্তব্য

তাই বলা যায় হাটার উপকারিতা অনেক।হাটলে অনেক রোগ ভাল হয়।সেই সাথে মন মেজাজ ভাল থাকে।হাটা সবচেয়ে সহজ এক্সারসাইজ।আপনি যদি রোজ হাটেন তাহলে উচ্চ রক্ত চাপ,ওজন বাড়ার মত রোগ কমে যাবে।
আপনি যদি ঘুম থেকে উঠে হাটার অভ্যাস করেন তাহলে এর থেকে ভাল আর কি হতে পারে।আর যদি না হাটেন তাহলে ভুগতে হবে নানান অসুখে ।তাই আপনি যদি সুস্থও হন তাও নিয়ম করে হাটুন দেখবেন শরীর ও মন দুইটায় ভাল লাগবে।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্কয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url