লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায়

 প্রতি বছর মানুষ যেই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয় সেই সমস্যার নাম হল লিভার সিরোসিস। লিভারে অনেক দিন ধরে ক্ষত থাকতে সেইখান থেকে লিভারের কর্মক্ষমতা কমে যায়। এই সমস্যার নাম হল লিভার সিরোসিস।

এটি লাভারের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।লিভার সিরোসিস একদিনে হয়না। প্রতিনিয়ত লিভার সমস্যা থেকে লিভার সিরোসিস হয়। লিভার সিরোসিস থেকে মানুষ মারাও যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃলিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায়

লিভার সিরোসিস কাকে বলে

লিভারের কোসগুলো যখন আর কাজ করতে পারেনা তখন সেই অবস্থাকে লিভার সিরোসিস বলে ধরা হয়।লিভার সিরোসিস হলে লিভারে সুতার মত এক ধরনের জিনিষ হয় যা আস্তে আস্তে লিভারের ছড়িয়ে পড়ে।এই সুতাকে ফাইব্রোসিস বলা হয়।
ফাইব্রোসিস ছড়িয়ে পড়লে লিভার তার কাজ করতে পারেনা।ফলে লিভার সংকুচিত হয়ে পড়ে।লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

লিভার সিরোসিসের লক্ষন

লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় জানতে হলে আগে লক্ষন জানতে হবে। সিরোসিস এর লক্ষন তেমন বুঝা যায়না।অনেক সময় আল্ট্রাসাউন্ড করার সময় বা অন্যকোন অপারেশন করার সময় ধরা পড়ে।ঘন ঘন জন্ডিস ও এই রোগের লক্ষন।রক্ত পরীক্ষা,বায়োপসি ইত্যাদির মাধ্যমে রোগটি ধরা পড়ে।
তবে কিছু লক্ষন আছে যেগুলো দেখা দিলে সাবধানে থাকতে হবে।যেমনঃওজন কমে যাওয়া,অরুচি,দুর্বলতা ইত্যাদি।লিভার সিরোসিস হলে পায়ে পানি আসতে পারে।আবার প্রসাব হলুদ হতে পারে।চোখ হলুদ হয়ে যেতে পারে।অনেকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।এই সব লক্ষন দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।নয়তো দেরি হয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় ঝিমুনি ভাব চলে আসতে পারে।আবার অনেক ক্ষেত্রে শরীরে চুলকানি হয়।পায়ের পাতা,গোড়ালি ফুলে যায় যাকে বলা হয় ইডিমা।
অনেকের আবার পুরো পা ফুলে যায়।আবার অনেকের ।হাতের পাতা লাল হয়ে যায়।তাই সময় থাকতে সাবধান থাকতে হবে।

লিভার সিরোসিস কেন হয়

লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় জানতে হলে আগে জানতে হবে এটা কেন হয়? লিভারের প্রদাহ থেকে লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে।বি,সি,ডি ভাইরাসের কারনে লিভারে প্রদাহ হয়।যা রুপ নেয় ভয়ংকর।লিভারে প্রদাহ বাড়ায় বলে একে হেপাটাইটিস বলা হয়।
অনেক দিন থেকে বি ও সি ভাইরাস থাকলে লিভার সংকুচিত হয়ে যায়।লিভার তার ক্ষমতা হারায়।আরো একটি বড় কারন হল লিভারে চর্বি জমা।যাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার।
বেশিদিন থেকে লিভারে চর্বি থাকলে লিভার নিজের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।এক সময় লিভার সিরোসিসে রুপ নেয়।শুধু বাংলাদেশ এ নয় সারা পৃথিবীতে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
আর কয়েক বছর পর এর হার আরো বাড়বে।এছাড়া ডাইবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,রক্তে কোলেস্টরল এগুলোর কারনেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে।লিভার সিরোসিস ক্যান্সার নয়।তবে সিরোসিস থেকে ক্যান্সার হতে পারে।

লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায়

লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় আমাদের সবার জানতে হবে কেননা সিরোসিস একটি মরনব্যাধি।যা একবার কাওকে ধরলে প্রানে বাচা মুশকিল হয়ে যায়।লিভার সিরোসিস হলে লিভারের কোসগুলো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।যার ফলে আক্রান্ত ব্যাক্তি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যেতে থাকে।এক সময় সে মারা যায়।এই রোগ থেকে বাচার জন্য কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।আসুন আমরা কিছু বিষয় জেনে নিই।

সুষম খাদ্য খেতে হবেঃখাবার অতি জরুরী।শাক সবজি খাবার চেষ্টা করতে হবে।শাক সবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।আবার শাক সবজি হজম কাজেও সাহায্য করে থাকে।
লাল মাংস কম খানঃলাল মাংস খাবার অভ্যাস যাদের আছে তাদের লিভার প্রদাহ হবে।লাল মাংস লিভারের জন্য খুব ক্ষতিকর।তাই লাল মাংস আপনার খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
অ্যালকোহল বাদ দিনঃলিভার সুস্থ রাখতে হলে অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে।এটি লিভার ফাংশনকে বাধা দেয়।যার ফলে সিরোসিস হতে পারে।তাই বাদ দিন এই বদ অভ্যাস।
পর্যাপ্ত পানি খেতে হবেঃলিভারকে ভাল রাখতে পানির বিকল্প নেই।তাই লিভার ফাংশন ভাল রাখতে হলে বেশি করে পানি পান করতে হবে।বেশি ভাল হয় আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ২ গ্লাস পানি পান করতে পারেন।সারাদিনে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন।
ওজন নিয়ন্ত্রন করুনঃলিভার সিরোসিসের অন্যতম কারন হল ওজন।যার ফলে লিভারে ফ্যাট জমে।আর এই ফ্যাট থেকে হয় ফ্যাটি লিভার।তাই সময় থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃঅলস ভাবে দিন কাটালে অসুখ ঘিরে ধরে তাই সারাক্ষন শুয়ে বসে না থেকে বাইরে থেকে ৩০-৪০ মিনিট হেটে আসুন।আবার জিমে গিয়েও আপনি ব্যায়াম করতে পারেন।না পারলে বাসায় ব্যায়াম করতে পারেন।এতে করে আপনার লিভার সুস্থ থাকবে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুনঃলিভার ভাল রাখতে হলে আপনাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।কেননা মিষ্টি জাতীয় খাবার ফ্যাত জমায়।ফলে লিভার হয় ক্ষতিগ্রস্থ।তাই মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
প্রচুর শাক সবজি খেতে হবেঃলিভার সুস্থ রাখার অন্যতম প্রাকৃতিক উপায় হয় শাক সবজি।যে যত বেশি সবজি খাবে সে তত ভাল থাকবে তার লিভার তত উন্নত থাকবে।
ভ্যাকসিন নিতে হবেঃহেপাটাইটিস খুবই ভয়ংকর।তাই হেপাটাইটিস ভ্যাকসিন নিতে হবে।হেপাটাইসিস থেকে সিরোসিস হতে পারে।সময়ের আগে ভ্যাকসিন নিন আর সুস্থ থাকুন।
নিয়মিত চেক আপ করানঃইচ্ছা না করলেও এই কাজটি করা উচিত।৬ মাস পর পর লিভার টেস্ট করা উচিত।সময় মত সনাক্ত করতে পারলে সিরোসিস থেকে মুক্তি সম্ভব।

লিভার সিরোসিস টেস্ট যেভাবে করা হয়

লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় এর ক্ষেত্রে সিরোসিস টেস্ট করাতে হবে। প্রথমত, রক্ত নিয়া হয়।তারপর তা পরীক্ষা করে দেখা হয়।যদি ডাক্তার বুঝতে পারেন যে লিভার সিরোসিস আছে তাহলে লিভার ফাংশন,কিডনি ফাংশন সব দেখবেন।যদি হেপাটাইটিস বি,সি ধরা পড়ে তাহলে সেইক্ষেত্রে ভ্যাকসিন সাজেস্ট করে থাকেন।আবার যদি টেস্টে জন্ডিস ধরা পড়ে সেই ক্ষেত্রে বিশ্রাম দিতে পারেন।আবার বেশি করে তরল খাবার খেতেও বলেন ডাক্তার।
আবার অনেক সময় ডাক্তার এন্ডোস্কোপি করে থাকেন।এর সাহায্য ভাল ভাবে লিভার ফাংশন দেখা যায়।আর চিকিৎসাও ভাল হয়।

সিরোসিস মানেই কি প্রানহানী

 লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় জানতে হলে আগে জানতে হবে সিরোসিস কি মরনব্যাধি? হলেই কি কেও মারা যাবে।এই কথার কিন্তু মানে নাই।এর অনেক ভাল চিকিৎসা আছে।যা আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা।যেমন হেপাটাইটিস বি রোধ করা সম্ভব।জন্মের পর এই টিকা দিয়ে নিলে ভয় থাকেনা।

সি এর কোন টিকা নাই।তাই খুব সাবধান।মাদক নেয়া যাবেনা,কারও ব্যবহার করা ক্ষুর ব্যবহার করা যাবেনা,বাহিরের পানি,শরবত খাওয়া যাবেনা।এইসব খেলে জন্ডিস হবে তখন আরও সমস্যা বাড়বে।সেক্ষেত্রে সিরোসিস আরো জটিল হয়ে যাবে।এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে ডাক্তার যা বলবেন তাই করতে হবে নাহলে হীতে বিপরীত হয়ে যাবে।

হেপাটাইটিস বি হলে কি ওসুধ খেতে হয়

 লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় জানতে হেপাটাইটিস বি টেস্ট করাতে হবে। সাধারনত ডাক্তার অ্যান্টিভাইরাল খেতে দেন।এই ওষুধ কয়েক বছর খেতে হয়।নিয়মিত চেক আপ করাতে হয়।যাতে বোঝা যায় ওষুধ ঠিকমত কাজ করছে কিনা।ডাক্তার সব সময় খেয়াল করেন যে সিরোসিসে রূপান্তরিত হচ্ছে কিনা বা ক্যান্সার হচ্ছে কিনা।
তাই যতদিন ডাক্তার আপনাকে নিষেধ না করবে ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে।

এসজিপিটি কত হলে সিরোসিস হয়

 লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় এর অন্যতম বিষয় হল এজজিপিটি টেস্ট। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এসজিপিটি বের করা হয়।এসজিপিটি এর মাত্রা যদি ৫৬ ইউনিট এর বেশি হয় তাহলে লিভারের ক্ষতি বুঝায়।উচ্চ এসজিপিটির মাঝে কারন হতে পারে ওজন বেশি,কোলেস্টরল এইসব।তাই আমাদের সবার উচিত এসজিপিটি টেস্ট করানো।এতে করে লিভার ভাল আছে কিনা বোঝা যায়।এর লক্ষন বমি ভাব ,ক্লান্তি,পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
এটি বেড়ে গেলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।যেমন-ভিটামিন,মিনারেল খেতে হবে,ব্যায়াম করতে হবে,সিগারেট খাওয়া বাদ দিতে হবে।তাহলে অনেকটায় নিয়ন্ত্রন এ আসবে।

ডায়গোনসিস

লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তির উপায় এর ক্ষেত্রে ডায়গোনসিস এর ভুমিকা অনেক। সিরোসিসের প্রথম ধাপে কিছু ধরা পড়েনা।ডাক্তাররা কিছু রক্ত পরীক্ষা দেন।এর মাধ্যমে বুঝা যায় আসলে সমস্যা কোথায়।
ছবির মাধ্যমে পরীক্ষাঃএম আর ই পরীক্ষার মাধ্যমে এই ছবি পাওয়া যায়।যাকে বলা হয় ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইলাস্টোগ্রাফি।লিভার শক্ত না নরম আছে এটার মাধ্যমে দেখা হয়ে থাকে।এছাড়া এম আর আই এবং আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমেও এই কাজ করা হয়ে থাকে।
বায়োপসিঃসিরোসিস থাকলে ডাক্তার বায়োপসি করতে বলবেন।যদিও এটি জরুরী নয়।তবে রোগের কারন বোঝার জন্য এই টেস্টটি ডাক্তার দিয়ে থাকেন।সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেন।আবার রোগের লক্ষন দেখেও তিনি কিছু ওষুধ দেন।
এন্ডোস্কপিঃডাক্তার যদি মনে করেন যে লিভার এর সব কিছু ভাল করে দেখবেন।ভেতরে আসলে কি হয়ে আছে তা দেখবেন তাহলে এই পরীক্ষা দেন।এর মাধমে লিভার এর ভেতরের সব কিছু দেখা যায় যদি দেখেন যে সমস্যা রয়েছে সেই ক্ষেত্রে তিনি ওষুধ দিবেন।।
রক্ত পরীক্ষাঃডাক্তার ল্যাবরেটরী পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার রক্ত দেখবেন।বিলিরুবিন আছে কি না তা দেখবেন ডাক্তার।আর সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিবেন।

লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা

চিকিতসা করার জন্য রোগের কারন জানা খুবই জরূরী।তাহলে চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়।লিভারের ক্ষতি যদি বেশি হয় তাহলে রোগীকে হাসপাতাল এ রাখতে হয়।এখন আসুন সিরোসিসের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি-
ওজন কমানোঃলিভার সিরোসিস থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে আপনাকে ওজন কমাতে হতে।ওজন বেড়ে গেলে ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা বেশি থাকে যার ফলে লিভার অকেজো হয়ে পড়ে তাই আপনার ওজন বেশি থাকলে দ্রুত কমান।
ওসুধঃসিরোসিস এর প্রাথমিক ধাপে ওষুধ খেতে হয়।ওষুধগুলো হেপাটাইসিস এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।লিভারে বাড়তি ক্ষতি থেকে মুক্তি দেয়।ভাইরাসের আক্রমন হতে দেয়না।
অ্যালকোহল সেবন বাদ দিতে হবেঃলিভারকে ড্যামেজ হয় অ্যালকোহল এর কারনে।অ্যালকোহল সেবন করলে লিভার তার স্বাভাবিক ক্ষমতা হারায়।তখন আর উপায় থাকেনা।তাই সময় থাকতে অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে।
খ্যদ্যাভাস পরিবর্তন করুনঃএই সব রুগীর ক্ষেত্রে খাদ্যাভাস পাল্টাতে হবে।বাইরের খবার খাওয়া যাবেনা।বাইরের পানি,শরবব এইসব থেকে বিরত থাকতে হবে।নয়তো সিরোসিস বেড়ে যেতে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে যারা বাইরের খাবার বেশি খান তাদের লিভার সিরোসিস বেশি হয়।তাই বেশি করে প্রোটিন,ভিটামিন এসব খেতে হবে।শাক সবজি ,ফল খেতে হবে।
লিভার ট্রান্সপ্লান্টঃরোগ যদি বেড়ে যায় তাহলে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে।অনেক ক্ষেত্রে এটি করা হয়।কেননা সিরোসিস শুরুতে ধরা পড়েনা।সাধারনত একটা সুস্থ লিভার অসুস্থ মানুষ এর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

লিভার সিরোসিস ঝুকির কারন

লিভার সিরোসিস হবার কারনের মাঝে অন্যতম কারন হল অ্যালকোহল সেবন করা।এছাড়া হেপাটাইটিক,ফ্যাটি লিভার থাকলে।আবার অতিরিক্ত ওজন এর কারনেও লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে।আবার বেশ কিছু ওষুধ অনেক দিন ধরে খেলে লিভার সিরোসিস হতে পারে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে যে শরীরে ক্রনিক হেপাটাইটিস বি আছে কি না।এটি লিভারের প্রদাহ বাড়ায়।অনেক দিন থাকলে লিভারে ক্ষত বাড়িয়ে তোলে যার ফলে লিভার সিরোসিস হয়।আবার দেখা যায় যে পরিবারের কারও লিভার সিরোসিস থাকলে আপনার হবার সম্ভাবনা থাকে।তাই বংশগত দিক থেকেও লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে।

লিভার সিরোসিস প্রতিরোধ

লিভার সিরোসিস একটি ভয়ংকর রোগ।সময় মত প্রতিরোধ না করলে মানুষ মারাও যায়।তাই ঝুকি কমানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়।সেগুলো নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করবো-
  • অ্যালকোহল খাওয়া কমে দিন
  • সঠিক খাদ্যাভাস বজায় রাখতে হবে
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
  • বেশি পেইন কিলার খাওয়া যাবেনা।
  • অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বাদ দিতে হবে
  • হেপাটাইটিস এ আর বি এর টিকা নিতে হবে।
  • বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

লিভার সিরোসিস একটি জটিল রোগ।এই রোগ সময় মত বুঝতে না পারলে প্রান চলে যেতে পারে।সচেতন থাকতে হবে এবং জীবনযাত্রার মান পাল্টাতে হবে।তবেই লিভার সিরোসিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।যদি কারও মনে হয় যে লিভার সিরোসিস আছে তাহলে সেই ডাক্তারের কাছে যেতে পারে প্রাথমিকে ধরা পড়লে রোগ সেরে যায়।তাই নিয়মিত লিভার টেস্ট সবারই করা উচিত।সঠিক পদক্ষেপ,নিজের যত্ন নিয়ে আমরা শরীর নিয়ন্ত্রন করতে পারি আর লিভার সিরোসিসকে কাটিয়ে তুলতে পারি।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্কয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url