পেটের চর্বি কমানোর উপায়-পেটের চর্বি কমানোর ১০ টি উপায়
পেটের মেদ একটি বিব্রতকর বিষয়।অতিরিক্ত খেলেই যে পেটের মেদ বাড়ে তা নয় বরং উচ্চ ক্যালোরির খাবার খেলেও বাড়ে মেদ।মেদ বাড়লে ভোগান্তির শেষ থাকেনা।আবার এই ধারনাও ভুল মেদ বাড়লে কমেনা।
আগে জানতে হবে কোন খাবার খেলে মেদ জমবে আর কোন খাবার খেলে মেদ জমবেনা।মেদ জমে গেলে তা থেকে বের হয়ে আসার অনেক উপায় আছে।আসুন আমরা পেটের চর্বি কমানোর বিষয়ে আলোচনা করবো।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন
পোস্ট সূচিপত্রঃপেটের চর্বি কমানোর উপায়-পেটের চর্বি কমানোর ১০ উপায়
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
- দ্রুত খাবার অভ্যাস বাদ দিতে হবে
- কোন বেলার খাবার বাদ দিয়া যাবেনা
- ছোট সাইজের প্লেটে খাবার অভ্যাস করুন
- প্রয়োজনের থেকে বেশি খেতে যাবেন না
- অন্যমনস্ক হয়ে খাওয়া বাদ দিতে হবে
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন
- ঘুমের রুটিন বদলে ফেলুন
- লাল আটা,লাল চাল খাবার অভ্যাস করুন
- ফাস্টফুড খাবার পরিহার করতে হবে
- যেভাবে সাতদিনে পেটের মেদ কমাবেন
- সকালবেলার যে অভ্যাস দূর করবে মেদ
- মেদ কমানোর ৫ টি ব্যায়াম
- ফ্যাট্মুক্ত খাবার গুলো
- লেখকের মন্তব্য
পেটের মেদ কমানোর ১০ টি উপায়
সাধারনত অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারনে পেটে মেদ জমে।মেদ শুধু পেট নয় অন্যান্য অংশেও জমতে পারে।তাই সাবধান থাকতে হবে।অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বাদ দিলে মেদ কমে যাবে।এখন আসুন চর্বি কমানোব উপায় নিয়ে আলোচনা করি।
নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
সারাদিন শুয়ে বসে থাকা যাবেনা।এতে করে শরীরে মেদ জমতে পারে।এজন্য ব্যায়াম করতে হবে জিমে যেয়ে।জিমে যাওয়া সম্ভব না হলে ৩০ মিনিট করে ফুল স্পিডে হাটতে হবে।প্রতিদিন না পারলেও অন্তত সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন হাটার অভ্যাস আপনার মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
রাতারাতি মেদ কমবেনা।ব্যায়াম অথবা হাটাহাটি চালিয়ে যেতে হবে।যদি কাজ না হয় তাহলে আপনাকে দৌড়াতে হবে নিয়মিত।এতে করে আপনার ঘাম ঝরবে ক্যালোরি বার্ন হবে সাথে মেদ কমবে।তাছাড়া আপনি পুশআপ,পুলআপ দিতে পারেন।এতে প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হবে আর আপনার মেদ কমবে।
আরও পড়ুনঃঅতিরিক্ত ঘামের কারন
দ্রুত খাবার অভ্যাস বাদ দিতে হবে
দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।খাবার পেটে যাবার সাথে ২০ মিনিট এর মতন সময় লাগে বুঝতে যে পেট ভরেছে কিনা?দ্রুত খাবার খেলে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার একটা বিষয় থাকে।তাই খাবার সময় লক্ষ রাখতে হবে খাবার যেন আস্তে ধীরে খাওয়া হয়।
কোন বেলার খাবার বাদ দিয়া যাবেনা
অনেকে আছেন সকালের নাস্তা বাদ দেন।এটি করা যাবেনা।একবেলা খাবার দিলে পরের বেলায় ক্ষুধা এমনিতেই লাগে যার ফলে বেশি খাওয়া পড়বে।তাই সকালের নাস্তা করতেই হবে।
আপনার যদি একবেলা খাবার বাদ দেবার অভ্যাস থাকে তাহলে এই অভ্যাস আজকেই বদলাতে হবে নাহলে বেড়ে যাবে শরীরের মেদ।আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে পরে যেন অতিরিক্ত ভোজন খাবার খাওয়া না হয়।।
ছোট সাইজের প্লেটে খাবার অভ্যাস করুন
এইখানে প্লেট বিষয় নয় বরং কতটুকু খাবার শরীরে যাচ্ছে তা হল মুল বিষয়।সাধারনত বড় প্লেট হলে খাবার থাকে বেশি তাই বড় প্লেট পরিহার করতে হবে।ছোট প্লেটে খাবার নিয়া যায় কম তাই ছোট প্লেট নিতে হবে ।
সেইক্ষেত্রে আপনার খাবার চাহিদা কমে যাবে।কম খেতে ইচ্ছা করবে।প্লেটে খাবার নেয়ার সময় পরিমান খেয়াল করুন।যেন অতিরিক্ত খাবার প্লেটে উঠে না যায়।কম খাবার মানে কম ওজন।
প্রয়োজনের থেকে বেশি খেতে যাবেন না
কোন বিয়ে বাড়ি,কারও বাড়ি দাওয়াত এ গেলে আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি।কেও খাবার দিলে সেটা না বলা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।তাই আমরা না চাইলেও খেয়ে ফেলি।এটাকে ওভারইটিং বলা হয়ে থাকে।
দাওয়াতে আর একটি জিনিষ বেশি খাওয়া হয় সেটা হল মিষ্টি।যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিবে বহুগুন।কেও মিষ্টি দিলে আমরা কোন কিছু চিন্তা না করে বেশি করে খেয়ে ফেলি।পরে ওজন বাড়লে আমরা আফসোস করি।তাই কোথাও গেলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেকে সংযত করতে হবে।
অন্যমনস্ক হয়ে খাওয়া বাদ দিতে হবে
আনমনে খাওয়া বাদ দিতে হবে।খাওয়ার সময় অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে বুঝা যায়না যে কতটুকু খাওয়া হচ্ছে।গেম খেলতে খেলতে খাওয়া,টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া এই অভ্যাস থাকলে ওজন বাড়তে পারে।
কারন অন্যদিকে মন থাকলে খাবার খাওয়া বেশি হয়।আবার অনেকে এমন আছেন টিভি দেখতে দেখতে কিছু একটা খেয়ে ফেলেন।অথচ তার পেট ভরা।তাই এগুলা মোটেও ভাল না শরীরের জন্য।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন
মানসিক চাপ থেকেও মেদ বাড়তে পারে।অনেক দিন থেকে মানসিক চাপে ভুগলে হরমন প্রবাহ বেড়ে যায় যার ফলে মেদ বাড়তে শুরু করে।মানসিক চাপ বেড়ে গেলে ক্ষুধা বেড়ে যায়।খাবার চাহিদা বাড়ে।
একটু পর পর ক্ষুধা অনুভুত হয়।যার ফলে বার বার খাবার ইচ্ছা হয় আর মেদ বাড়ে।তাই মানসিক চাপ কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে ।প্রয়োজনে ওসুধ সেবন করতে হবে।তাছাড়া নিয়মিত মেডিটেশন,ব্যায়াম করতে হবে যেন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন থাকে।
ঘুমের রুটিন বদলে ফেলুন
ঘুমের অভাবে ওজন বেড়ে যায়।রাত জাগার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।কেননা রাত জাগলে কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করবে।আর এই অভ্যাস থেকে বাড়তে পারে মেদ।কিন্তু তারাতাড়ি ঘুমালে ক্ষুধা লাগতোনা যার ফলে খাওয়াও হত না।
রাত জাগলে আমরা সাধারনত উচ্চ ক্যালোরির খাবার খাই।যেমন-চিপস,পিজা,নুডুলস,কোক এই জাতীয় কিছু এগুলা তে প্রচুর ফ্যাট রয়েছে।তাই খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করতে হবে।তাহলে মেদ জমতে পারবেনা।
লাল আটা,লাল চাল খাবার অভ্যাস করুন
সাদা আটা,সাদা চাল প্রস্তুত করার সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ফেলে দেয়া হয়।যার ফলে ফাইবার বেসি থাকে।ফাইবার আস্তে আস্তে হজম হয়।রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে লাল চাল ,লাল আটায় ফাইবার কম থাকে।ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায় ফলে মেদ জমতে দেয়না।তাই সাদা চাল,আটা বাদ দিয়ে লাল চাল,আটা খাবার অভ্যাস করুন।
ফাস্টফুড খাবার পরিহার করতে হবে
মেদ বাড়ার অন্যতম কারন হল ফাস্টফুড।এতে প্রচুর ফ্যাট থাকে।আমরা সাধারনত কোক,পিজা,বার্গার,এগুলা খেতে পছন্দ করি।আবার বাইরে গেলেও আমরা আমাদের পছন্দের তালিকায় এ সব খাবার রাখি।
এগুলা ব্লাড সুগার বাড়ায় ।পাশাপাশি ফ্যাট সেল বাড়ায়।যার ফলে জমতে থাকে মেদ।তাই এইসব খাবার খেলেও খুব কম খেতে হবে।কিছু খেতে মন চাইলে আপনি ফল খেতে পারেন।বাসায় বানানো খাবার খেতে পারেন।
যেভাবে সাতদিনে পেটের মেদ কমাবেন
শরীরে মেদ জমলে অনেকেই হাটা শুরু করেন।কিন্তু এইভাবে কি আসলেই মেদ কমে?মনের মাঝে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়।তাহলে করনীয় কি?হ্যা,করণীয় অনেক কিছু আছে।মেদ কমাতে লাগে অনেক পরিশ্রম আর শারীরিক কসরত।আসুন সাতদিনে মেদ কমানোর উপায় জেনে নিই
গ্রিন টিঃএতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যা মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে।এটা মস্তিষ্কে সচল রাখে।গ্রিন টি ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন।
পানি পান করুনঃপ্রচুর পানি পান করুন।পানি আপনাকে সকল অসুখ থেকে মুক্তি দিবে।শরীরকে রাখবে নিরাপদ।
আদা চা পান করুনঃআদা হজমে সহায়তা করে।এটি অতি সহজে ওজন কমিয়ে দিয়ে আপনাকে ফিট বানিয়ে দিবে।
লেবু পানি পান করুনঃলেবু পানি লিভার ভাল রাখে।স্কিন ভাল রাখে।সকালে এক গ্লাস লেবু পানি বাড়তি মেদ কমিয়ে দেয়।অতিরিক্ত ওজন থেকে বাঁচতে আজই লেবু পানি পান করুন।
দৌড়াদৌড়ি করুন নিয়মিতঃযাদের ওজন অনেক তারা হাটার বদলে দৌড়ান।প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে দৌড়ান।তার ফলে আপনি যেই পরিমানে ঘামবেন শরীর থেকে মেদ বের হয়ে যাবে ঘামের মাধ্যমে।
সাগু দানা খান প্রতিদিনঃপ্রতিদিন সাগু দানা খাবার অভ্যাস করুন।সাগু দানায় প্রচুর ওমেগা ৩ আছে যা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে থাকে।
আরও পড়ুনঃঅতিরিক্ত ঘামের কারন
সকালবেলার যে অভ্যাস দূর করবে মেদ
মেদ বেড়ে গেলে চিন্তার কিছু নেই ।সকাল বেলা শুরু হবে কিছু অভ্যাস দিয়ে যা করলে আপনার চিন্তা দূর হবেই হবে সাথে সাথে কমবে আপনার মেদ।
মেডিটেশন করুনঃপ্রতিদিন ১৫ মিনিট মেডিটেশন করুন।এটি আপনার মনকে শান্ত রাখবে।স্ট্রেস নিয়ন্ত্রন করবে।আর স্ট্রেস নিয়ন্ত্রন হলে কমে যাবে মেদ।
নাস্তায় প্রোটিন রাখুনঃআপনার নাস্তা হতে হবে প্রোটিনে ভরপুর।কেননা প্রোটিন খেলে অনেক্ষন পেট ভরা থাকে যার ফলে পরে অতিরিক্ত খাবার খেতে ইচ্ছা করেনা।তাই ডিম ,দই,ফল এই সব রাখবেন।
আরও পড়ুনঃকিডনি ভাল রাখার উপায়
খাবার তালিকা বানানঃকি কি খাবার খাবেন তা ঠিক করুন।অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার আপনার তালিকায় রাখবেন।এতে করে ফাস্ট ফুড খাবার প্রবনতা কমবে।আবার বাইরের পরোটা খাবার ইচ্ছাও কমে যাবে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবেঃঘুম মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী।নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।ঘুম হলে কাজের গতি বাড়বে।শরীরও ঠিক থাকবে।আর ঘুম কম হলে স্ট্রেস বাড়বে মেদ ও বাড়বে।তাই ভাল ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃনিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।সকাল সকাল ব্যায়াম করা ভাল।সুস্থ মানুষের জন্য ও ব্যায়াম করা উচিত।দিনের শুরুতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।এটি দ্রুত মেদ কমাবে।পাশাপাশি হাটা,দৌড়ানো এগুলো মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
মেদ কমানোর ৫ টি ব্যায়াম
ছেলে মেয়ে উভয়েরই মেদ এর সমস্যা আছে।বিশেষ করে পেটে মেদ জমে বেশি।একেবারে ভরপেট না খেয়ে অল্প অল্প করে ৪-৫ বার খাবেন।খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি খেয়ে নিবেন।তাহলে খাবার হজম ভাল হবে।রাতের খাবার টার সময় খেয়ে নিয়া ভাল আর ১০ টার সময় ঘুমিয়ে যাওয়া ভাল।তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে।
খাবার তালিকায় রাখতে হবে লাল আটার রুটি,লাল চালের ভাল,ফল,সবজি।খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।তাহলে দ্রুত মেদ কমবে।আপনাদের সাথে মেদ কমানোর ৫ টি ব্যায়াম নিয়ে আলোচনা করবো
ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজঃসকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি বাসায় এই ব্যায়াম করতে পারবেন।ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করলে আপনার মেদ ১০০% কমবেই কমবে।
ফ্লাটার কিকঃম্যাটে শুয়ে হাত দুইটা হিপের কাছে নিন।এবার মাথার উপরে দুই হাত উঠান।এই অবস্থাতেই পা দ্রুত উঠান আর নামান।পা সোজা রেখে হাটু ভাজ না করে নামিয়ে আনুন।নিঃশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
পেটের স্ট্রেচিং করুনঃচিত হয়ে শুতে হবে।দুই হাত টান করে পিছনে নিয়ে যেতে হবে।তারপর পায়ের পাতা টান করে মেঝে স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে।এতে পেটের পেশিতে টান পড়বে।এইভাবে ১০ মিনিট থাকতে হবে।
জগিং করার অভ্যাস করুনঃপ্রথমে ১ মিনিট জগিং,তারপর ৩০ সেকেন্ড দৌড়ানো,আবার ১ মিনিট জগিং,তারপর ৩০ সেকেন্ড দৌড়ানো।এইভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট করতে হবে।
নিয়মিত হাটাহাটি করুনঃপ্রথমে আস্তে আস্তে হাটুন ৫ মিনিট,তারপর গতি বাড়িয়ে দিন ।হাটুন ৫ মিনিট,আবার হাটার গতি কমিয়ে দিন এইভাবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাটুন।
ফ্যাটমুক্ত খাবার গুলো
বেশ কিছু খাবার আছে যা ফ্যাট্মুক্ত।সেগুলো আপনি যতই খান আপনার মেদ বাড়বেনা।আসুন জেনে নিই কোন কোন খাবারে ফ্যাট কমে।
বিভিন্ন মশলাঃরান্নায় যেসব মশলা ব্যবহার করা হয় যেমন রসুন,হলুদ,দারুচিনি এগুলো খুবই উপকারী।মশলা খাদ্যকে সহজপাচ্য করে।হজমেও সাহায্য করে।মশলা মেদ কমাতে অনেক সাহায্য করে।
সামুদ্রিক মাছঃসামুদ্রিক মাছে প্রচুর ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে।এই এসিড মেদ কমাতে সাহায্য করে।তাই বেশি করে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিৎ।
ফল ও সবজিঃবেশি করে ফল ও সবজি খেতে হবে।ফল খেলে ক্ষুধা তেমন বুঝা যায়না।আশ জাতীয় খাবার বলে এটি মেদ কমাতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েলঃমেদ কমাতে আপনি অলিভ অয়েল খেতে পারেন।কেননা অলিভ অয়েল ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমিয়ে দেয়।যার কারনে মেদ অতি দ্রুত কমে যায়।
চিয়া সিডঃচিয়া সিডকে আদর্শ খাবার বলা হয়।এতে ওমেগা ৩ আছে।আগের রাতে পানিতে ২ চা চামুচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে পরের দিন পান করুন খালি পেটে।
জিরা পানিঃশরীরের জন্য জিরা পানি অনেক উপকারী।এটি শরীরে মেদ জমতে দেয়না।আপনি চাইলে এটি সকালে খেতে পারেন।তাছাড়া এটি হজমে অনেক সাহায্য করে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি এই লিখার মাধ্যমে আপনি মেদ কমানোর উপায় নিয়ে ভাল একটি ধারনা পেয়েছেন।আর্টিকেল এ যা লিখা হয়েছে তা কেও পড়লে তার অনেক উপকার হবে বলে আমি মনে করি।অনেকেই মেদ কমানোর উপায় জানেন না।আমি তাই এই আর্টিকেলটি লিখেছি যেন সবাই পড়ে স্বচ্ছ একটা ধারনা পায়।
কেও রাতারাতি মেদ কমানোর আশা করবেন না।মেদ কমাতে হলে আপনাকে খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে পাশাপাশি কিছু ব্যায়াম আছে সেগুলো করতে হবে তাহলে আপনি কমাতে পারবেন মেদ।তাই সময় আছে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখুন নয়তো বাড়তি মেদ আপনার শরীরে অনেক রোগ বাধিয়ে দিতে পারে।
স্কয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url